খুব সহজে নিজের ছবি দিয়ে বানিয়ে ফেলুন AI Animated Avatar Videos [D-ID]
create AI animated avatar videos
create AI animated avatar videos
বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে সারাবিশ্বে তোলপাড় চলছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা AI মানুষের জীবনকে আরও সহজ করে তুলেছে। সময়ের সাথে সাথে এর ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। এখন অনেক জায়গায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার করে পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং এর দ্বারা কঠিন বা অনেক সময়সাপেক্ষ কাজগুলোকেও সহজ এবং কম সময়ে করা সম্ভব হচ্ছে।
সহজ ভাষায় বললে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হচ্ছে মানুষের বুদ্ধি বা জ্ঞান মেশিনে যুক্ত করা বা করার চেষ্টা করা। অর্থাৎ আমরা মানুষ যেভাবে চিন্তা-ভাবনা করি সেই একই চিন্তা-ভাবনা কিভাবে মেশিনকে দেওয়া যায় সেটাই হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এ প্রক্রিয়ায় মেশিন কিছুটা হলেও মানুষের মতো চিন্তা/বিচার করতে পারে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যখন আপনি ইউটিউবে কোনো ভিডিও দেখেন তখন সেই রিলেটেড আরও কিছু ভিডিও আপনাকে দেখানো হয়। এটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’র দ্বারাই করা হয়।
আজকে আমি দেখাবো কিভাবে নিজেই AI Animated Avatar ভিডিও বানাবেন। ভিডিওটি সম্পূর্ণ AI দিয়ে তৈরি করবো। ভিডিও তে ব্যবহার করা অডিও স্ক্রিপ্টও সেরা একটি AI বেজড সাইট থেকে জেনারেট করবো। অডিও হবে একদম ন্যাচারাল বা একদম রিয়েল ভয়েস। ভিডিও’তে আমরা একটি ইমেজ ব্যবহার করবো যেটা অ্যানিমেট হবে এবং আমাদের স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী কথাও বলবে। এখানে আপনি চাইলে নিজের ইমেজও ব্যবহার করতে পারবেন।
আচ্ছা আগে নিচের ডেমো ভিডিওটি দেখে নিন যেটা আমি জেনারেট করেছিঃ
প্রথমে নিচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
Ellevenlab – হচ্ছে AI এবং Deep Learning টেকনোলজির উপর ভিত্তি করে তৈরী একটি Text-to-speech ওয়েবসাইট।এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনারা লেখাকে ভয়েসে রূপান্তর করতে পারবেন খুব সহজেই। সাইট থেকে জেনারেট করা ভয়েস হবে একদম ন্যাচারাল অর্থাৎ মনেই হবে না এটা AI – এর দ্বারা জেনারেট করা। তারা ফ্রী’তে সার্ভিস দেয় না, অবশ্যই প্রফেশনালি ব্যবহার করতে গেলে আপনাকে পে করতে হবে। তবে ট্রায়াল হিসেবে তারা প্রতি মাসে 10.000 ওয়ার্ডস/ক্যারেক্টারস পর্যন্ত ভয়েস জেনারেট করতে দেয়।
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর উপরে থাকা Sign Up – বাটনে ক্লিক করে আপনার একটি গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাইন ইন করে নিন।
নিচের স্ক্রিনশট লক্ষ্য করুনঃ
সাইন আপ হয়ে লগইন করলে Speech Synthesis – অপশনে চলে যান। তারপর ইনপুট বক্সে আপনার টেক্সট লিখুন যেটা আপনি ভয়েসে কনভার্ট করতে চাচ্ছেন। অবশ্যই ইংরেজিতে লিখতে হবে। Voice – অপশন থেকে আপনারা ভয়েসের ধরন(Male To Female) পরিবর্তন করতে পারবেন।
নিচের স্ক্রিনশট লক্ষ্য করুনঃ
টেক্সট লেখা হয়ে গেলে এবারে Generate – এ ক্লিক করুন। কিছুক্ষণ পরই আপনার টেক্সট ভয়েস/অডিও’তে কনভার্ট হয়ে যাবে। ডাউনলোড আইকন ক্লিক করে অডিও ফাইলটি ডাউনলোড করে নিন।
নিচের স্ক্রিনশট লক্ষ্য করুনঃ
আমাদের অডিও স্ক্রিপ্ট বানানোর কাজ শেষ। এখন আমরা এই অডিও দিয়ে একটি অ্যানিমেটেড ভিডিও বানাবো।
এর জন্য নিচের দেওয়া লিংক’এ ক্লিক করে D-ID ওয়েবসাইট’টিতে প্রবেশ করুন।
D-ID – হচ্ছে AI টেকনোলজির উপরে তৈরী একটি ওয়েবসাইট যেটা একটি ইমেজ থেকে মানুষের ফেস নিয়ে হাইকোয়ালিটি’র ফটোরিয়্যালিস্টিক ভিডিও তৈরী করতে সক্ষম। ওয়েবসাইটের AI টেকনোলজি ইমেজ ও অডিওকে দারুণভাবে কম্বাইন বা সংযুক্ত করে দেয় এবং অডিও অনুযায়ী ইমেজে এক্সপ্রেসন যুক্ত করে। এদের API নিউরাল নেটওয়ার্কস যেটা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর একটা মেথড যার মাধ্যমে কম্পিউটারকে মানুষের মস্তিষ্কের মতো ডাটা বা তথ্য প্রসেস করার শিক্ষা দেওয়া হয়। এটাকে মেশিন লার্নিং/ডিপ লার্নিং ও বলা যায়।
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর এখানেও গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে Sign Up – করে নিবেন। সাইন আপ সম্পন্ন হলে লগইন করে Create Video – তে ক্লিক করুন।
নিচের স্ক্রিনশট লক্ষ্য করুনঃ
তারপর নিচের মতো ইন্টারফেস দেখতে পাবেন। এখন আমাদের একটি ইমেজ যুক্ত করতে হবে অথবা আপনি চাইলে ডিফল্টভাবে যে ইমেজগুলো আছে সেখান থেকেও একটা সিলেক্ট করতে পারেন। ইমেজ অ্যাড করতে চাইলে Add+ – আইকনে ক্লিক করে স্টোরেজ থেকে ইমেজ অ্যাড করে নিন। ডানপাশে দেখুন অডিও ফাইল আপলোড করার অপশন আছে! ঐখানে ক্লিক করে পূর্বে জেনারেট করা অডিওটি আপলোড করে দিন অথবা আপনারা চাইলে অডিও অ্যাড না করে এখানেও স্ক্রিপ্ট লিখতে পারেন। আপনার লেখা স্ক্রিপ্ট ভিডিও’র সাথে অডিও হিসেবে যুক্ত হয়ে যাবে।
নিচের স্ক্রিনশট লক্ষ্য করুনঃ
তারপর আপনি চাইলে আপনার ভিডিও’টির একটা নাম দিতে পারেন।
তাছাড়া ডিফল্টভাবে অনেক প্রেজেন্টার আছে যেগুলো আপনি সিলেক্ট করতে পারেন। সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে আপলোড করা হলে Generate Video – তে ক্লিক করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।
নিচের স্ক্রিনশট লক্ষ্য করুনঃ
অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার ভিডিওটি জেনারেট হয়ে যাবে। তারপর চাইলে ভিডিওটি প্লে অথবা ডাউনলোড করতে পারবেন।
নিচের স্ক্রিনশট লক্ষ্য করুনঃ
D-ID – ওয়েসাইটে ভিডিও জেনারেট করলে তাদের Watermarks – থাকবে কারণ আমরা এটা ফ্রী’তে জেনারেট করেছি। সাইটে অ্যাকাউন্ট খুললে তারা কিছু ক্রেডিটস দিয়ে থাকে। একটি ভিডিও জেনারেট করার সাথে সাথে কিছু ক্রেডিটস কেটে নিবে। সব ক্রেডিটস শেষ হয়ে গেলে আপনি আর ভিডিও জেনারেট করতে পারবেন না। তখন আপনাকে তাদের প্রিমিয়াম প্যাকেজ কিনতে হবে।
এছাড়াও আমাদের অন্যান্য বিষয়বস্তু দেখুন
- নিয়ে নিন ফ্রি 100+ Useful AI Tools এর লিস্ট । যা আপনার দৈনন্দিন জীবনের কাজ কে আরো সহজ করে দিবে
- BDIX কি, কেমন হতো যদি BDIX স্পিডে সবকিছুই ডাউনলোড করা যেত?
- ফ্রিতে প্রিমিয়াম ফন্ট ডাউনলোড করার ট্রিকস এবং ওয়েবসাইট।
bah